সিবিআইয়ের দাবি, অধুনা তৃণমূল বিধায়ক বাবুল কেন্দ্রে ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৬-’১৭ সালে ওই দুর্নীতি হয়েছিল।
বাবুলের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক সুশান্ত মল্লিক ছাড়াও এই দুর্নীতিতে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইপিআইএল)-এর একাধিক কর্তা জড়িত বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
এফআইআরে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৬-’১৭ সালে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ইপিআইএল-এর ওই তৎকালীন কর্তা। ওই এফআইআর অনুযায়ী, সেই ৫০ লক্ষ টাকা সংস্থার একাধিক কর্তার মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছিল।
তার মধ্যে ৪০ লক্ষ টাকা সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসপিএস বক্সীকে দেওয়া হয়েছিল। এবং ১০ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি হয়েছিল ইপিআইএল-এর তৎকালীন এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর হরচরণ পাল এবং ম্যানেজার (গ্রেড ‘থ্রি’) পরিতোষকুমার প্রবীণের মধ্যে।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে যে ওই ৪০ লক্ষের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুলের তৎকালীন আপ্তসহায়ক সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল।
এই মামলায় সুশান্ত-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি, এই এফআইআরে দুর্নীতিবিরোধী আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।