বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছেন ইমরান খান। বিরোধীদের পাশাপাশি তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদে আর দেখতে চাইছেন না তাঁর দলের একাধিক সদস্যও। ফলে আদৌ তাঁর পদ থাকবে কিনা সেই এখন বেশ চিন্তায় রয়েছেন তিনি। বিতর্ক আরও বেড়েছে পাকিস্তানরে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ শব্দ বাদ দেওয়ায়।
উধাও হয়েছে চ্যানেলের ভেরিফায়েড টিক চিহ্নও। ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী, যে সব ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড সেগুলোর নামের পাশে নীল টিক চিহ্ন থাকে। তবে চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করলে সেটির ভেরিফায়েড টিক পরিবর্তন করা হয়। আর এই দোলাচলের মধ্যেই এবার তিনি পাকিস্তানবাসীর মুখোমুখি হতে চাইছেন। তার জন্য রবিবার পাক রাজধানী ইসলামাবাদে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তিনি।
তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf ) সেনেটর ফয়জল জাভেদ খান জানিয়েছেন রবিবার বিকেল চারটের সময় ইসলামাবাদের প্যারেড অ্যাভিনিউয়ে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, এখন রীতিমতো দোলাচলের মধ্যে রয়েছেন ইমরান। তাই নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মানচিত্র বদল করার শেষ চেষ্টা করতে চলেছেন তিনি।
পাক গণমাধ্যম অনুযায়ী, ন্যাশনার অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থ প্রস্তাব পেশ হলে ইমরানের দলের বেশ কয়েকজন সদস্য তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন। ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক নম্বর হল ১৭২। তার মধ্যে পিটিআই-এর সদস্য সংখ্যা ১৫৫। বাকি মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে নিজের গদি বাঁচিয়ে রাখাই এখন অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠেছে ইমরানের কাছে।