ভারী কিছু বয়ে নিয়ে যেতে গাধার ভূমিকা সর্বজনবিদিত।কিন্তু জানেন কি সেই গাধাই সাহায্য করছে মাসে লাখের উপর উপার্জন করতে?এই অসম্ভব কেই সম্ভব করেছেন কেরালার এবি বেবি।তিনি আগে এক আইটি কোম্পানির এডভার্টাইজমেন্টের কাজ করতেন কিন্তু ২০০৬ এ চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন কেরালা তেই। ছকে বাঁধা জীবন ছেড়ে উদ্ভাবনী বুদ্ধি কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিলেন।
অনেক গবেষণা করে জানতে পারেন গাধার দুধের উপকারিতা নিয়ে।যেই ভাবনা অমনি কাজ শুরু,তবে সময়ও লেগেছিল অনেক।সমগ্র দক্ষিণ ভারত ভ্রমণ করে ২০১৫ র মধ্যে ৩২ টি গাধা কিনে আড়াই একর জমিতে ঘাস লাগিয়ে খামার তৈরি করেন। যদিও গাধা গুলো কিনতে তার খরচা হয়েছে গাধা প্রতি 80,000 থেকে 1,00,000 টাকা।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,তিনি যে প্রোডাক্ট গুলি তৈরি করেন যেমন বিউটি ক্রিম, শ্যাম্পু,বাথওয়াস প্রভৃতি তৈরি হয় গাধার দুধ থেকে। তিনি আরও বলেন যে তার উদ্যোগে প্রথম গাধার দুধ আহরণ করা হচ্ছে, যেটি সাধারনত বিদেশে দেখা যায়।এমনকি,মিশরের রানীরা ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য গাধার দুধ ব্যবহার করতেন।শুধু তাই নয়,রোগ নিরাময়েও গাধার দুধের ভূমিকা অনস্বীকার্য।এই দুধ হাঁপানি, জন্ডিস, এলার্জি ও যক্ষার মত ভয়ানক রোগের মহাওষুধ বলে বিবেচিত হয়। ভারতীয় বাজারে তিনি এই দুধ বিক্রি করেন 5000 থেকে 6000 টাকা লিটারে।
তবে তাঁর চলার পথ কিন্তু একেবারেই সুগম ছিলনা।তাকে পথ দেখানোর মতো কেউ ছিল না। যা প্রাথমিকভাবে তাকে খুব হতাশ করেছিল।এই কারণে তার কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। প্রাথমিক বিনিয়োগের জন্য তিনি তার আত্মীয়স্বজনদের কাছে থেকে টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই লোকসানে যায়।
কিন্তু বর্তমানে তিনি ইন্টারনেটে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে dolphiniba.com নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তার এই পণ্যগুলোকে বিক্রি করেন। আজ তিনি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন।এর মাধ্যমে তিনি সমাজকে বোঝাতে সক্ষম মানুষ চাইলে যেকোনো কিছুই করতে পারে,শুধু ইচ্ছাশক্তি,সততা আর কঠোর পরিশ্রম দরকার।