১৯৩৯ সালে ব্রিটেনের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় স্যর জর্জ অ্যালান টমাস টেনিসের ডেভিস কাপ এবং ফুটবল বিশ্বকাপ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই টমাস কাপের সূচনা করেছিলেন। সৈয়দ মোদী, প্রকাশ পাড়ুকোন, পুল্লেলা গোপীচাঁদ — তাঁরা যখন তাদের কেরিয়ারের সর্বোচ্চ জায়গায় ছিলেন, তাঁরাও তখন সফলতা অর্জন করতে পারেন নি। সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন কিদম্বি শ্রীকান্ত, এইচএস প্রণয়রা।
৭৩ বছরের পর অবশেষে প্রথম বারের জন্য টমাস কাপের ফাইনালে পদক্ষেপ রাখলো ভারত। ভারত শেষ বার কোনও পদক অর্জন করেছিল ৪৩ বছর আগে। বৃহস্পতিবার দিনই শ্রীকান্তরা এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিলো পদক নিশ্চিত করে। অবশেষে তাঁরা ডেনমার্ককে পরাজিত করে টমাস কাপের ফাইনালে প্রবেশ করলেন।
এইদিনের ম্যাচে ডেনমার্ককে ৩-২ ব্যাবধানে হারিয়েছিল ভারত। প্রথম ম্যাচটিতে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। লক্ষ্য সেনও সেইদিন জিততে পারলেন না। ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে ১৩-২১, ১৩-২১ -গেমে হেরে যান লক্ষ্য সেন।
তারপরের ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি।তাঁদের(সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি) কাছেই অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হন দুই জুটি কিম অস্ট্রুপ এবং ম্যাথিয়াস ক্রিশ্চেনসেন।
শ্রীকান্ত নেমেছিলেন তৃতীয় ম্যাচ খেলতে। শ্রীকান্ত এইদিনের ম্যাচে অ্যান্ডার্স অ্যান্টনসেনকে ২১-১৮, ১২-২১, ২১-১৫ গেমে হারিয়ে ভারতকে আরো এক পা এগিয়ে দেন ফাইনালের দিকে।
কৃষ্ণ প্রসাদ গর্গ এবং বিষ্ণুবর্ধন গৌড়,তাঁরা আবার চতুর্থ ম্যাচটিতে ১৪-২১, ১৩-২১ গেমে হেরে যান দুই জুটি অ্যান্ডার্স রাসমাসেন এবং ফ্রেডেরিক সোগার্ডের কাছে।
ভারতকে এই অবস্থা থেকে বের করে এনে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়লো এইচএস প্রণয়ের উপরই। এই ম্যাচে তিনি (এইচএস প্রণয়) রাসমাস জেমকে ১৩-২১, ২১-৯, ২১-১২ গেমে হারিয়ে ভারতকে ফাইনালের দোরগোড়ায় প্রবেশ করিয়ে দেন। ৭৩ বছর পরে অবশেষে ইতিহাস গড়ল ভারত।