নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নানা ‘জনবিরোধী নীতির’ বিরোধিতায় আগামী সোম ও মঙ্গলবার দেশ ব্যাপী ধর্মঘট (Strike) ডেকেছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্পভিত্তিক ফেডারেশনগুলি। ওই দুই দিন রাজ্য সচল রাখতে শনিবার কঠোর নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। অর্থসচিব মনোজ পন্থের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই দু’দিন রাজ্য সরকার এবং সরকারের অনুদানে চলা সমস্ত প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে।
সব কর্মচারীর অফিসে আসা বাধতামূলক। অফিসে যোগদান করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। ওই দু’দিন বিশেষ কারণ ছাড়া কারও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। বিশেষ কারণের মধ্যে আছে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজের বা পরিবারের কারও গুরুতর অসুস্থতা এবং পারিবারিক বিপর্যয়, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং ২৫ মার্চের আগে যাদের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা করেছিল বাংলাকে বনধ-ধর্মঘটের সংস্কৃতি মুক্ত করবে তাঁর সরকার। সেই মতো গোড়া থেকেই সরকারি অফিসকাছারি খোলা রাখার ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর।
ধর্মঘটের দু’দিন অফিসে না এলে কর্মজীবন থেকে ওই দুটি দিন কেটে নেওয়া হবে। কাটা হবে বেতনও। নবান্ন সূত্রে বলা হয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-প্রশাসনকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। রাস্তা, রেল অবরোধ করা হলেই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে দেবে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিনই অন্যদিনের মতোই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হবে।