আসন পুনর্বিন্যাসের কারণে ২০০৯ সালে লুপ্ত হয়ে যায় সাধনের বড়তলা কেন্দ্র। নতুন বিধানসভা মানিকতলা। ২০১১ সালে মানিকতলায় তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা। জিতে মমতার প্রথম মন্ত্রিসভায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী হন তিনি।
১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর-পূর্ব আসন থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য সাংসদ হন অজিত। তার পরেই বড়তলার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৫ সালের মার্চে বড়তলা বিধানসভার উপনির্বাচন হয়।
১৯৮৫-র উপনির্বাচন, ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৮৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক। ২০০১ থেকে আমৃত্যু তৃণমূলের বিধায়ক।
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর-পূর্ব আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী হন অজিত পাঁজা। সেই নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী হন সাধন। কিন্তু লোকসভায় তাঁর শোচনীয় পরাজয় হয়।
২০০১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০১ এবং ২০০৬ সালে তৃণমূল প্রতীকেই বড়তলার বিধায়ক হন। তবে ২০০৬ সালে ভোটে জয়ের পরেই মমতার সঙ্গে সঙ্ঘাত বাঁধে বড়তলার বিধায়কের।