স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে অনিশ্চয়তার মেঘ। সূত্রের দাবি, শহরের ১৬টি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী খাতে বকেয়া ১৩০ কোটি টাকা। সেই বিল এখনও মেটায়নি রাজ্য সরকার! বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে কড়া চিঠি দিয়েছে পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ‘আনস্পেসিফায়েড ক্যাটেগরি’ তুলে দেয়। মেডিসিন বিভাগের অধীন অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এই ক্যাটেগরিতেই করা হত। সরকারের যুক্তি ছিল, এই ক্যাটেগরিতে খরচের হার আগে থেকে নির্দিষ্ট করে না-দেওয়ায় অনেক বেসরকারি হাসপাতাল অধিকাংশ ‘কেস’ বা রোগীকে এই ক্যাটেগরিতে ফেলে যথেচ্ছ বিল করছিল। কিন্তু এটি তুলে দেওয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল জরুরি ও মেডিসিন বিভাগে রোগী ভর্তি অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দিয়েছে।
ফলে দুর্ভোগে পড়ছে আমজনতা। সরকারি প্রকল্পের সুবাদে দ্রুত ও যথাযথ পরিষেবার আশায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাজির হলেও বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি কমিয়ে দেওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এদিকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় বকেয়া বিল অবিলম্বে না মেটালে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীকে ভর্তি নেওয়া কঠিন।