সুস্মিতা নন্দী,DNI: ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত এবং পাকিস্তান। পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করলো ভারত। তাদের মধ্যেই একজন খেলোয়াড় গুজরাটের নরেশ তুমদা। রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত তিনি। কিন্তু এখন এমন দৃশ্য যা চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারের মুখে অন্ন তুলতে তাঁর গ্রাম নবসারিতে একটি ইঁটভাটায় কাজ করেন। কোনো কোনোদিন সকালে সবজি নিয়ে বাজারেও বসেন।
একটি সাক্ষাৎকারে নরেশ জানিয়েছেন, “পদকজয়ের প্রাথমিক উচ্ছাস মিটে যেতেই আর কারোর থেকে কোনো সাহায্য পাননি তিনি। এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য সবধরনের কাজ তিনি করতেও পারবেন না। তবে কোনো সরকারি অফিসের কাজ পেলে অনায়াসেই করতে পারবেন, সেটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁর আছে।”
কিন্তু এখন কোথায় পাবে সে কাজ ? অনেকে হয়তো ভালো মতন তাকে চেনেন না। তিনি বলেন “সম্মানিত হয়ে যে টাকা তিনি পেয়েছিলেন টা দ্রুতই শেষ হয়ে গেছে, তাই পেত চালানোর জন্য সবজি বিক্রি করতো কিন্তু সেটাও বাজার বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হলে গেছে তাই পেত চালাতে ইটভাটায় কাজ করেন”।
ছোট থেকেই গরীব ঘরেই মানুষ তিনি। ছোট থেকেই খেলার প্রখর ইচ্ছা আর এই ইচ্ছা শক্তির জোরেই তিনি খেলতে নামেন। ভেবেছিলেন খেলেই সংসারের আর্থিক সমস্যা মিটিয়ে দেবেন।সেইসঙ্গে আশা ছিল, খেলাধুলোয় নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে নিশ্চই সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার মতো একটা জীবিকা পাবেন। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের পরেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক চিঠি লিখেও কোনো উত্তর পাননি তিনি। এখন একটা যে কোনো কাজের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছেও। নরেশ জানেন না, এই চিঠিরও কোনো উত্তর তিনি পাবেন কিনা।