Ritika Roy, DNI: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ফর্ম নিয়ে জালিয়াতির জের। এবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন আমবাড়িতে এক তৃণমূল নেতাকে সপরিবারে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ফর্ম চড়া দরে বিক্রি করছিলেন বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ির বাসিন্দা বাপ্পা দে সরকার এবং তাঁর দাদা বাপি দে সরকার। প্রকল্পের সুবিধা পেতে ইচ্ছুক বাসিন্দাদের ফর্মের দাম নেওয়া হচ্ছিল। এবং ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা দিতে বাধ্য করেছিলেন। ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় হইচই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা বাপ্পা দে সরকার, তাঁর দাদা বাপি দে সরকার এবং বৌদি শিখা দে সরকার ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিত্ মহন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হবে।
অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যার বক্তব্য, “আমি স্কুলের দিদিমনি। আমাদের কাছে ফর্ম নাই। আমরা ফর্ম বিক্রি করি না। শুধু ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছি। কিন্তু তাঁর দাবি, পাড়ার দোকানেই নাকি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি হচ্ছে। আর ফর্ম পূরণ করতে তিনি ৫০ টাকা এবং কেউ যদি ফর্ম নেন তাহলে তিনি নিজের থেকে ফর্ম দিয়ে ও পূরণ করে ৬০ টাকা নিচ্ছেন, তাও স্বীকার করে নিলেন এক বাক্যেই। ” বাসিন্দাদের দাবি, তাদের থেকে ফর্ম দাম ও পূরণ করতে সর্বমোট ১০০ টাকা করে নিয়েছিল। কিন্তু মহিলা তা অস্বিকার করেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সের পিছিয়ে পড়া জনজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। বিভিন্ন জালিয়াতি চক্রের জন্য সরকার ঘোষণা করেন বাইরে থেকে ফর্ম গ্রাহ্য হবে না। প্রকল্পের ফর্ম মিলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। ফর্মে একটি ইউনিক নম্বর থাকবে যা ফর্মটির সত্যতা প্রমাণ করবে বলে, সূত্রের খবর।