সারদা মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার পরেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনো রকম জবাবও চাওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 1 জুলাই সারদা মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ঐ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমান বিজেপি বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনাকে সরাসরি স্বার্থের সংঘাতের আখ্যা দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কারণ এস জি মেহতা যে মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর, সেই মামলারই অন্যতম মূল অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর একান্তে আলোচনা সব দিক থেকেই অনভিপ্রেত। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভিডিও ফুটেজ দাবি করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। এমনকি এস জি মেহ্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলির “ওয়াশিং মেশিন” তত্ত্ব আবার সামনে আসছে।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদা মামলায় কোনো রকম তদন্ত করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কারণ শুভেন্দু বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক। বস্তুত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বহুদিন ধরেই এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে করে চলেছে যে তাদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই, ইডি কোনো রকম তদন্ত করে না। এই অভিযোগও ওঠে যে, অন্য দল থেকে কেউ বিজেপিতে যোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও সব তদন্ত থামিয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে “ওয়াশিং মেশিন” বলে কটাক্ষ করা হয়।
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় কিছু বলা না হলেও এই ঘটনা যে আবার বিরোধীদের অভিযোগকেই আরো জোরালো করবে সে সম্পর্কে একমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
News By Gourab